আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন( ইভিএম)এ ভোট গ্রহণ করা হবে প্রায় সাড়ে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মোট নারী পুরুষ সহ ১৯ লাখ ভোটারের। কীভাবে ভোট দিতে হয়,ইভিএম এ সে বিষয়ে ভোটারের সচেতনতা তৈরিতে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিকেল প্রচারণার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের কাজির দেউরি, জামালখান মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস।

এসময় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটাররা যাতে ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে পুরো ধারণা পান, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। ইভিএম এ ভোট প্রদান সহজ ও নির্ভযোগ্য করতে আজ থেকে ভোটার এডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় এ লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। যাতে নতুন ভোটার বা যারা ইভিএম সম্পর্কে জানেন না তাদের এ লিফলেটের মাধ্যমে ভোট প্রদানে সহজ ধারণা দেয়া হচ্ছে। এলিফলেট বিতরণের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

মেশিনে ভোট দেওয়ার এ প্রক্রিয়া যে সহজ ও নির্ভরযোগ্য- সে বিষয়েই প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মনির হোসেন খান।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল আলম জানান, ভোটারদের সচেতন করার জন্য প্রচারের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ, খাগড়াছড়ির জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, স্টাফ অফিসার বুলবুল আহমেদসহ অন্যান্যরা।

ইভিএমে ভোট দেবেন যেভাবে ঃনির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটার আসার পর কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ ও ভোটার নম্বর যাচাই করে ভোটার হিসেবে নিশ্চিত করবেন। এ সময় ভোটারের ছবি ও তথ্য একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে। যাতে সকল প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটারের পরিচয় দেখতে পারেন।

ভোটারকে শনাক্তকরণের পর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সচল হবে। যতগুলো পদের জন্য ভোট প্রদান করতে হবে কক্ষের ভেতরে ঠিক ততগুলো ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকবে। এই ইউনিটে প্রার্থীদের প্রতীক বাম পাশে এবং নাম ডান পাশে দেখা যাবে।

ইভিএম পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের বাম পাশের সাদা বাটনে চাপ দিতে হবে। এ সময় প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে ডান পাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পদের জন্যও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

কোনও কারণে যদি ভোটার ভুল প্রতীক শনাক্ত করেন তাহলে সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার আগে তা সংশোধন করতে পারবেন। ভুল সংশোধনের আগে ভোটারকে ডান পাশের লাল বাটনে চাপ দিতে হবে। এতে ভুল করে দেওয়া পূর্বের ভোটটি বাতিল হয়ে যাবে। ফলে নতুন করে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। সঠিকভাবে পুনরায় প্রতীকের পাশের বাটনে চাপ দিয়ে সবুজ বাটনে চাপ দিলে ভোট প্রক্রিয়া শেষ হবে।

সবুজ বাটন চাপ দেওয়ার পর ভোট দেওয়া প্রতীক ছাড়া বাকি সকল প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে ভোটার নিশ্চিত হবেন যে, ওই প্রতীকে তার ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে অবশ্যই কেন্দ্রে আসার আগে ভোটারকে তার ভোটটি কোন বুথে পড়েছে সেটি জেনে আসা ভালো। তাহলে আরও সহজেই ভোট দেওয়া সম্ভব হবে।